Home » » কম্পিউটার কি?

কম্পিউটার কি?

কম্পিউটার কি?

কম্পিউটার হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যার মাধ্যমে খুব সহজে এবং অল্প সময়ে প্রচুর তথ্য সম্বলিত বড় গাণিতিক (Mathematical) হিসাবসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায়। এতে রয়েছে মেমোরি, নিয়ন্ত্রণ অংশ, গাণিতিক ও যুক্তি অংশ ও নির্গমন অংশ । এটি সব ধরনের ডাটাকে নম্বরে রূপান্তরিত করে সমাধান বা প্রক্রিয়া (Process) শেষে আবার ডাটায় রূপান্তরিত করে প্রকাশ করে। এটি কোনো টেক্সট, সাউন্ড বা ছবিকে নম্বরে রূপান্তরিত করা ছাড়া শনাক্ত করতে পারে না। এটি ডাটা গ্রহণ করে, পরে | বিশ্লেষণ করে এবং ফলাফল প্রকাশ করে। এটি অতি দ্রুত এবং নির্ভুল ফলাফল প্রকাশ করে।


কম্পিউটারের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:

কম্পিউটারে নির্ভুল ফলাফল, দ্রুতগতি, ডাটা সংরক্ষণ, স্বয়ংক্রিয় কর্মক্ষমতা, সহনশীলতা, স্মৃতি বা মেমোরি। ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। 

কম্পিউটার দ্রুত গতিসম্পন্ন (High Speed) 

কম্পিউটারের জন্য প্রতি সেকেন্ডে কয়েক মিলিয়ন ডাটা গণনা করা কোনো ব্যাপার না। Weather রিপোর্টের ক্ষেত্রে মিলিয়ন মিলিয়ন ডাটা প্রোসেস করার দরকার হয়। গ্যাস, ইলেকট্রিক কোম্পানির বিল ইত্যাদি ক্ষেত্রে বড় গণনার জন্য অতি দ্রুতগতিতে কম্পিউটার কাজ করে থাকে। এটি বৈদ্যুতিক সিগনালের মাধ্যমে কাজ করে যার গতি আলোর গতির চেয়ে সামান্য কম। 


নির্ভুল ফল প্রকাশ (Accuracy)

 মানুষ ভুল করে কিন্তু কম্পিউটার কখনও ভুল করে না। কিন্তু কম্পিউটারে প্রদান করা তথ্য যদি ভুল থাকে তখন কম্পিউটার ভুল ফলাফল প্রকাশ করে। কম্পিউটারকে যা নির্দেশনা দেয়া হবে এটি তাই করে দেখাবে। | আমরা নিউজ পেপারে কম্পিউটারের ভুল সম্বন্ধে অনেক তথ্য পেয়ে থাকি। মনে রাখতে হবে এটি কম্পিউটারের ভুল নয়, যে ব্যক্তি কম্পিউটারে প্রোগ্রাম তৈরি করেছে অথবা তথ্য প্রদান করেছে সেখানে ভুল থাকার সম্ভাবনা থাকে। কম্পিউটারের ভুলের এই প্রক্রিয়াকে বলে Garbage In Garbage Out (GIGO).


ছােট স্থানে অনেক বড় ডাটা সংরক্ষণ (Storage) 

সাধারণত অফিস আদালতে কাগজে লেখা ফাইলের প্রচলন রয়েছে। ধরা যাক, ১ কোটি ফাইলের মধ্যে থেকে একটি ফাইল খুঁজে বের করতে হবে। ব্যাপারটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। যদি ফাইলগুলো কম্পিউটারে রাখা হয় তবে সামান্য জায়গাতে রাখা যাবে এবং যে কোনো একটি ফাইলকে মুহূর্তের মধ্যে খুঁজে বের করা যাবে। ৪" x ৬ মাপের একটি হার্ডডিস্কের মধ্যে সংযোগ করে রাখা যাবে প্রায় এক লাখেরও | বেশি বইয়ের সফট কপি। শুধু টেক্সট বই নয় বিভিন্ন ধরনের ইমেজ, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি সবই কম্পিউটারে | সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। একটি ২০০ GB হার্ডডিস্কের মধ্যে ২০০x১০২৪x১০২৪x১০২৪টি অক্ষর বা সেই পরিমাণ ডাটা সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব।


দিনে ২৪ ঘণ্টা কাজ করা সম্ভব (Dilligencey)

 কম্পিউটার ক্লান্ত হয় না। কম্পিউটারের কোনো লাঞ্চ ব্রেক বা চা ব্রেক দরকার হয় না। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা এমনকি বছরে ৩৬৫ দিনই নিরবিচ্ছিন্নভাবে কম্পিউটার কাজ করতে পারে। কোনো মানুষের পক্ষে এভাবে কাজ করা সম্ভব নয়।


 অসম্ভবকে সম্ভব করা (Incredibility) 

 এয়ারলাইন-রেললাইন বুকিং, ক্রেডিট কার্ড বা স্মার্ট কার্ড ব্যবহার, আবহাওয়া বার্তা, মহাকাশ গবেষণা, ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার ছাড়া সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পাদন করা সম্ভব নয় ।

 

স্বয়ংক্রিয়তা (Automation) 

সঠিক প্রোগ্রাম এবং ডিভাইস থাকলে প্রদত্ত নির্দেশমতো কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাটা প্রসেস করতে পারে । 

 

 বহুমুখিতা (Versatility) 

 মাল্টিটাস্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে কম্পিউটার একই সাথে অনেকগুলো কাজ করতে পারে এবং একই সাথে বহু ব্যবহারকারী ভিন্ন ভিন্ন কাজ করতে পারে ।

 

যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত (Logical Decision)

যদিও কম্পিউটারের চিন্তাশক্তি বা মস্তিস্ক নেই তবুও উপযুক্ত প্রোগ্রামের মাধ্যমে এটি যুক্তিসঙ্গত (Logical) সিদ্ধান্ত নিতে পারে ।


কম্পিউটারের ব্যবহার :

ঘর থেকে শুরু করে অফিস-আদালত এমন কোনো জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে কম্পিউটার ব্যবহার হয় না। অফিসের কাজে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট, শিল্পকারখানা, খেলাধুলা, চিত্তবিনোদন, দোকানপাট, ব্যাংক-ইস্যুরেন্স কোম্পানি, আবহাওয়া অফিস, মহাশূন্য স্টেশন ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে আজকাল কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। 


আবাসস্থলে (At Home)

হোমওয়ার্কের কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। গৃহিণী তার ফ্যামিলি বাজেট কম্পিউটারের মাধ্যমে করতে পারে । এছাড়া ভিডিও গেম খেলা, গান-শোনা, ভিডিও দেখা, টিভি দেখা ইত্যাদি কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায় ।


ব্যাংকে (In Banks) 

ব্যাংকে গ্রাহকদের একাউন্টের হিসাব রাখা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে। অনলাইন ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে গ্রাহক যে কোনো সময়, যে কোনো স্থান থেকে লেনদেন করতে পারেন। এছাড়া কর্মচারীদের বেতন, বিভিন্ন প্রকার ভাতা, ওভার টাইম, আয়কর, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদির হিসাব-নিকাশ কম্পিউটারে করা হয়।

 

ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কাজে (In Departmental Store) 

বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ক্রয়-বিক্রয়, স্টক, ইনভেনটারিসহ কর্মচারীদের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ রাখা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে।


রেলওয়ে ও বিমান রিজার্ভেশনে (In Railway and Airlines Reservations)

 রেলওয়ে ও বিমান বন্দরে রিজার্ভেশনের যাবতীয় কাজ করা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে । কম্পিউটারের কয়েকটি বাটন প্রেস করে দ্রুত সময়ে কাজটি করা যায়। ম্যানুয়্যাল রিজারভেশন সিস্টেমে এক টিকিট অনেকের কাছে ভুল করে বিক্রি করা হয় কিন্তু কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহারে এ সমস্যা থাকে না।

 

যোগাযোগ ক্ষেত্রে (In Communication) 

এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য আদান-প্রদান করা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে। টেলিফোনের মাধ্যমে শুধুমাত্র কণ্ঠস্বর আদান-প্রদান করা যায় । কিন্তু কম্পিউটারের মাধ্যমে ভয়েস, পিকচার, মুভি, ডকুমেন্ট ইত্যাদি সবকিছুই পাঠানো সম্ভব ।


মুদ্রণ ও প্রকাশনায় (Printing and Publishing) 

কম্পিউটারের সাহায্যে বই, ম্যাগাজিন, নিউজপেপার, সাইন বোর্ড, বিল বোর্ড ইত্যাদি প্রিন্ট করা হয়। যখন কোনো লেখক পাণ্ডুলিপি দিয়ে থাকেন তখন প্রথমেই কম্পিউটারে কম্পোজ করা হয় পরে বিভিন্ন ধরনের স্টাইল, পিকচার ইত্যাদি সংযোজন করে কাগজে প্রিন্ট করা হয় । বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, কভার ইত্যাদি ডিজাইনও করা হয় এটির মাধ্যমে।


শিক্ষাক্ষেত্রে (In Education) 

অফলাইন এবং অনলাইন দুই ধরনের শিক্ষাতেই কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের কোর্স ম্যাটেরিয়ালস সংরক্ষণ করা হয় কম্পিউটারে। পরে প্রোজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস রুমে শিক্ষক উপস্থাপন করেন। কম্পিউটারের মাধ্যমে কিছু গাণিতিক ও Logical ডায়াগ্রাম সহজে বোঝানো হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে থাকেন কম্পিউটারের মাধ্যমে ।


হাসপাতালে (In Hospitals) 

হাসপাতালে যে সমস্ত সেনসেটিভ যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেগুলিও কম্পিউটারাইজড। এছাড়া রােগীর কেস হিস্ট্রি, ওষুধের স্টক ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে।


বিনোদনে (Entertainment)

 চিত্তবিনোদনের ক্ষেত্রেও কম্পিউটার অনেক বড় ভূমিকা রাখে । বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার গেমখেলা, গানশোনা, ভিডিও ও টিভি দেখা ইত্যাদি কম্পিউটারের মাধ্যমে করা সম্ভব । এছাড়া ইন্টারনেট চ্যাটিং বিষয়টিও রয়েছে ।

 

গবেষণা ও উন্নয়নে (In Research and Development) 

বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটার ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ (Analysis) করে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।


সামরিক ক্ষেত্রে (In Defence)

শক্তিশালী ডিফেন্স যন্ত্রপাতি, অস্ত্র ইত্যাদি এখন কম্পিউটারাইজড । বিভিন্ন ধরনের মিশাইল নিয়ন্ত্রণ করা হয় এটির মাধ্যমে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পারমাণবিক অস্ত্রও নিয়ন্ত্রণ করা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে।


ব্যবসা-বাণিজ্যে (In Business and Industry)

বর্তমানে ব্যবসায়ীগণ ব্যবসার সমস্ত রেকর্ড রাখেন কম্পিউটারে। তার অ্যাকাউন্ট, কর্মচারীদের বেতন, স্টক সংক্রান্ত হিসাব রাখেন কম্পিউটারে। এছাড়া CAM (Computer Aided Manufacturing)-এর মাধ্যমে কারখানাতে বিভিন্ন প্রোডাক্ট তৈরি করা হয়।


কম্পিউটারের বিবর্তন

খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ বছর থেকে ২০০৮-এর মধ্যে কম্পিউটারের ধারাবাহিক অগ্রগতি:

খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ (500BC) 

চীনে ABACUS নামে এক ধরনের গণনা যন্ত্র ব্যবহার করা হতো। এরপর কাছাকাছি একটি যন্ত্র ব্যবহার শুরু হয় জাপানে এটির নাম Soroban, চিনের ABACUS-এর উপরের দিকে ২টি সারি এবং Soroban এর উপরের দিকে ১টি সারি বিদ্যামান । Soroban এর উপরের সারিকে বলে Heaven এবং নিচের ৪টি সারিকে বলে Earth. এই যন্ত্র এখনও চীন, জাপান ও রাশিয়াতে ব্যবহৃত হয়। এটি যোগ ও বিয়োগ করতে পারে।


1617

John Napier সৃষ্টি করেন Logarithms. এতে মোট নয়টি করে সারিতে গাণিতিক সংখ্যা আড়াআড়ি সাজানো হতো। এটিকে বলা হয় NAPIER'S BONES. এটি গুণ ও ভাগ করতে সক্ষম। এটি ১৭ শতাব্দীর শুরু | থেকে ১৯ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত চলতে থাকে।


1642 

ফ্রেঞ্চ গণিতবিদ Blaise Pascal আবিষ্কার করেন Pascal's Calculator বা PAsCALINE, এটি পৃথিবীর প্রথম ক্যালকুলেটর।


1822 

ব্রিটিশ গণিতবিদ Charles Babbage আবিষ্কার করেন Differential Engine তিনি প্রথম কম্পিউটার তৈরির ধারণা দেন বলে তাকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।


1842

Charles Babbage আবারও আবিষ্কার করেন Analytical Engine, এটি ছিল সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং সব ধরনের গাণিতিক কাজে সক্ষম। এটি প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করতে পারতো এবং Instruction মেনে চলতে পারতো। এটিতেই প্রথম 0 এবং 1 বাইনারি সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। Charles Babbage এর বান্ধবী এবং বিখ্যাত কবি Lord Byron এর মেয়ে Lady Ada Augasa Byron এই বাইনারি ইনস্ট্রাকশন এর সূচনা করেন। তাকেই পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার এক প্রোগ্রামের জনক বলা হয়।


1889

বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত প্রথম মেশিন হচ্ছে HOLLERITH MACHINE, এটি আবিষ্কার করেন HERMAN | HOLLERITH, এটিতে একটি মেশিন ডাটা রেকর্ডিং করতো এবং অন্য মেশিন রেকর্ড করা ডাটা ক্যালকুলেশন করতো। এই মেশিনে নাম্বার এবং Text উভয়ই পড়তে পারতো। এটিতেই প্রথম Punched card ব্যবহার করা হয়। এটির অপর নাম Tabulating Machine.


1930

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের Howard Aiken ও IBM (International Business Machine) যৌথভাবে প্রথম ইলেকট্রিক্যাল কম্পিউটার আবিষ্কার করেন। এটির নাম ছিল MARK-1. এখান থেকেই শুরু হয় প্রথম | প্রজন্মের কম্পিউটার।


1936 

D, JOHNATANAsOFF এবং JOHN BERRY কম্পিউটারকে উন্নত করেন। তাদের কম্পিউটারে নাম ছিল Axc (AtanawofberryComputer) কম্পিটায়।


1943 

দ্বিতীয় বিমাজের সময় জার্মানদের কোড তাত্মার জন্য একটি ইলেট্রনিক কম্পিউটার আবিষ্কার করুন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ALAN TURINGcdLOssUS, ১৯৭০ সালের পরে এটির ব্যাপারে জানা যায়।


1943 J. Prosper Eckert 4 John Mauchly of RA ENIAC (Electronic Numerical Integrator And Calculator) এটিই সাধারণের উদ্দেশ্যে প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার। এটির ওজন ছিল 30 টন, এটিতে 1800 ভ্যাকুম টিউব ব্যবহার করা হয়েছিল। এটি 30 থেকে ৪০ ফুট জায়গা নিত এবং 160 কিলোওয়াট শক্তি লাগলো।


1951

পর্যায়ক্রমে EDVAC (Electronic Discrete Variable Automatic Computer), EDSAC (Electronic Delay Storage Automatic Computer) এবং UNIVAC (Universal Automatic Compute) বাজারে আসে। এটি বাণিজ্যিক ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটার।

18ss বাণিজ্যিকীবে প্রথম সফল কম্পিউটার হচ্ছে IBM-650 মডেল। প্রথমে এটি মাত্র 50টি তৈরি করা হলেও পরে আবারও 1000 এর বেশি তৈরি করে বাজারে ঘষ্কে IBM কোম্পানি। 1957 John Backj আবিষ্কার করেন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ FORTRAN (Formula Translation), 153 Jack Kiley আবিষ্কার কয়েল ftegrated circuits (IC), এতে বিদ্যুৎ প্রবাহের গতিপথের এক পরিপূর্ণ রূপ আবিষ্কার হয় এবং বদলে যায় কম্পিউটার আকৃতি ও ক্ষমতার। কম্পিউটার হয়ে উঠে অধিক পতি ও মেমোরি সম্পন্ন।


1960 

Dr. Grass Hopper আবিষ্কার করেন COBOL. (Computer and Business Oricated Language)


1965

Dr. John Kamony আবিষ্কার করেন উন্নত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ BASIC (Beginners All purpose | Symbolic Instruction Code এবং প্রথম Mini Computer এর আবিষ্কার হয় ।


1969 

আবির্ভাব ঘটে অপারেটিং সিস্টেম Linux ও Unix এর ।


1971 

Intel Corporation এর Dr. Tade Haff কম্পিউটার চিপ এর উন্নতি সাধন করেন। বাজারে আসে Intel4004 চিপ। পৃথিবীর প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর এটি। এটি ছিল একটি চার বিটের মাইক্রোপ্রসেসর । শুরু হয় মাইক্রো কম্পিউটারের পথচলা।


1975 

ইথারনেটের মাধ্যমে প্রথম LAN (Local Area Network) চালু হয়।


1976

Steve Jobs, Steve Wozniak এবং Ronald Wayne প্রথম Apple কম্পিউটার বাজারে আনেন।


1978 

বাজারে আসে ইন্টেল উদ্ভাবিত 8086 মাইক্রোপ্রসেসর । এটি ছিল একটি আট বিটের মাইক্রোপ্রসেসর।


1979 

VisiCalc নামে প্রথম স্প্রেডশীট প্রোগ্রাম বাজারে আনেন- Bob Frankstone এবং Dan Bricklin.


1980 

Ms-Dos এর সাফল্য পান Bill Gets. IBM ও Microsoft একসাথে কাজ করে ছিলেন।


1981 

IBM (International Business Machines) PC প্রথম বাজারে আসে।


1982

বাজারে COMPAQ কোম্পানি PC নিয়ে প্রবেশ করেন। 


1983 

বাজারে আসে স্প্রেডশীট প্যাকেজ প্রোগ্রাম LOTUS-123.


1984 

Hewlet Packard (HP) 04 Emission of Radiation) খ্রিষ্টার আনেন। (LASER- Light Amplification by Stimulated


1987 

উন্নত প্রযুক্তি 80386 প্রসেসর বাজারে আসে।


1988 

ইন্টেল বাজারে অধিক শক্তি প্রসেসর 486 (80486াজারে আনেন।


1992 

মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ 31 বাজারে অলে।


199 

Mark Enderson একটি খাফিকাল ওয়েব ব্রাউজার Mosaic আবিষ্কার করেন। তিনি Netscape Cominimications Coporation এক্স সাথে যুক্ত হন।


194 

Mark Endorson, Jim Clark in Netscape Navigator 1.0.


1992 

বাজারে আসে Microsoft এর গলজি অপারেটিং সিস্টেম Windows 95.


1997 

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এক্সপ্লোর ইন্টানেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।Pentium II প্রসেসর আবিষ্কার।


1998 

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৯৮ বাজারে আসে। ইন্টরনেটের জন্য আসে নতুন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার।


1999 

ইন্টেল বাজারে আনে Pentium II প্রসেসর। মাইক্রোসফট আনে office 2000 প্যাকেজ সফটওয়্যার।


2000 

বাজারে আসে উইন্ডোজ 20০০ অপারেটিং সিস্টেম। 1.4GHz গতির পেন্টিয়াম-4 মেশিন এবং Windows ME নামে আরেকটি অপারেটিং সিস্টেমের ভার্সন।


2001 

উইন্ডোজ XP-Release হয়। বাজারে আসে e-books,


2002 

Microsoft.net বাজারে আসে । DVD রাইটারও বাজারে আসে।


2003 

WiFi (Wireless fidelity) এবং Bluetooth বাজারে আসে। PCর সাথে যুক্ত হয় Mobile Phone.


2004 

LCD মনিটর অ্যাপলের iMac G-5, iPod বাজারে আসে।


2006 

বাজারে আসে অপারেটিং সিস্টেম Windows Vista এর পত্রের গুলোতে কম্পিউটার হার্ডার ও সফটওয়ারের ব্যাপক পরিবর্তন হতে থাকে। বাজারে আসে Core 2 Due, Dual Core, Quad Core, Core 2 Quad Core 2 Extreme, Core i3, Core is, Core i7 এক্ষের। অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হয় Windows 2000, Window ME, Windows 7, Windows 8, Windows 10, Windows 16। জনপ্রিয়তা লাভ করে LINUX অপারেটিং সিস্টেম। Microsoft Office, OpenOffice সহ বিভিন্নস্বার্লিকেশন সফটওয়্যারের নতুন তুন ভার্সনকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে।

0 comments:

Post a Comment

Contact form

Name

Email *

Message *